Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে রাউতি ইউনিয়ন

প্রাচীনকালে অত্র এলাকা কোচগারোদের আবাস ছিল। কোচগারোদের ছোট ছোট সামন্ত রাজা ছিল।  রাউতি ইউনিয়নে রাউসগারোদের আধিপত্য ছিল। সে ছিল অত্র এলাকার শাসনকর্তা। কালের চক্রে মুসলমান শাসকদের বাংলার আধিপত্য বিস্তার করায় কোচদের স্বাধীনতায় বিঘ্নতা দেখা দেয়। ফলে কোচগারোরা এদেশ থেকে কামরূপ রাজ্যের দিকে চলে যায়। রাউসগারোও তার  রাজ্য ছেড়ে চলে যায়। তারা ছিল দুই ভাই রাউসগারো ও বাউসগারো। বর্তমানে দুই ভাইয়ের নামে দুইটি মৌজা আছে। রাউসগারোর নামানুসারে তার শাসিত এলাকার নামকরণ হয় রাউস থেকে রাউতি। বর্তমানে রাউতি ইউনিয়ন পরিষদ এভাবে পরিচিত।রাউতি ইউনিয়ন পরিষদ তাড়াইল উপজেলার ২নং ইউনিয়ন। সূতী নদী পূর্বদিকে প্রবাহিত। শুকনা মৌসুমে উহার নাব্যতা থাকেনা। তাছাড়া প্রাচীন ফুলেশ্বরী নদীর ছোট ছোট শাখা প্রশাখা সর্বত্র বিস্তার করে আছে। ফুলেশ্বরীর একটি প্রাচীণ শাখা প্রাচীনকালে ভূমিকম্পের ফলে ভূ-প্রকৃতির বিবর্তন হলেও এই শাখাটির অক্ষত থেকে যায়। যাকে লোকে রাউতি কুড় নামে ডাকে। এই কুড়েরপাড়ে ধুন্ধার বাজার নামে একটি হাট বসে। প্রাচীনকালে এই হাটটি খুবই প্রসিদ্ধ ছিল। বর্ষা মৌসুমে রাউতি কুড়ে নৌকা বাইচ হত। আদিবাসী কোচ সামন্ত রাজাদের আবাস স্থল ছিল উঁচুবিটি। কিন্তু তারা কোন স্থাপনা তৈয়ার করে নাই ফলে তাদের কোন স্মৃতি  চিহ্ন নেই। তবে কোচেরা বড় বড় পুকুর খনন করে ছিল। অষ্টাদশ শতকের শেষের দিকে ভূমি কম্পে এই পুকুরগুলো অধিকাংশ ভরাট হয়ে যায়। বর্তমানে কিছু কিছু পুকুর কোচদের স্মৃতি বহণ করছে। লোকে এ পুকুরকে কোচের পুকুর ডাকে।কালের স্বাক্ষী বহনকারী নরসুন্দা নদীর তীরে গড়ে  উঠা তাড়াইল উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল হলো রাউতি ইউনিয়ন । কাল পরিক্রমায় আজ রাউতি ইউনিয়ন শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, খেলাধুলা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার নিজস্ব স্বকীয়তা আজও সমুজ্জ্বল। তাড়াইল উপজেলা থেকে প্রায় ২ কি: মিটার পশ্চিমে  রাউতি ইউনিয়ন এর অবস্থান শুরু এবং প্রায় ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে রাউতি ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ অবস্থিত। নাম – ০২নং রউতি ইউনিয়ন পরিষদ আয়তন:  ২৬.২৯ বর্গ কিলোমিটার। লোকসংখ্যা :   ১১২৩৫২ জন,  পুরুষ:   ৫৯২৪৫ জন     মহিলা:  ৫৩১০৭ জন। গ্রামের সংখ্যা :   ২৫ টি, মৌজার সংখ্যা:  ১৮ টি, হাট-বাজার :   ০২ টি (সরকারি লিপিবদ্ধ), অন্যান্য: ৩টি বেসরকারী উচ্চ বিদ্যালয়: ০২ টি, সিনিয়র মাদ্রাসা: ০১ টি, সরকারী প্রাথ: বিদ্যালয়: ১৩ টি,  মসজিদ : ৩৫ টি, এতিমখানা: ০২ টি ঈদগাহ মাঠ : ২০ টি, শশান :  ০২ টি, মন্দির: ০১টি, মোট জমি:  ৬৪৯৩.০০ একর। খাস: ৮৫.৩৪ একর, ভূমিহীন পরিবার:   ১২০১ টি।